মঈনের নেতৃত্বে ট্যুরিজম ব্যবসায়ীর উপর হামলা, বাড়ি দখলের চেষ্টা!

মঈনের নেতৃত্বে ট্যুরিজম ব্যবসায়ীর উপর হামলা, বাড়ি দখলের চেষ্টা!
কক্সবাজার প্রতিনিধি ঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজী পাড়ায় হেলাল উদ্দিন সাগর (৩২) নামে এক ট্যুরিজম ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুত আহত হেলাল কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলাকারী ব্যক্তি মোঃ মঈন উদ্দিন (৫০) মহেশখালী উপজেলার মৃত আবদু রশিদের পুত্র। বেশ কয়েক বছর আগে সে উদবাস্তু হিসেবে মহেশখালী থেকে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজ্বী পাড়ায় এসে বসতি স্থাপন করেন। বর্তমানে কক্সবাজার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হাজ্বী পাড়ার বাসিন্দা।
গত শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাতে পারিবারিক কলহে স্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী হেলালের কথা কাটাকাটি হয়।
হামলার শিকার হেলাল উদ্দিন সাগর বলেন, ‘পারবারিক বিষয়ে আমার সঙ্গে স্ত্রীর ঝামেলা হয়। মাঝখানে কিছু বুঝে উঠার আগেই মঈন নামের লোকটি এসে অহেতুক আমাকে মারধর করে। মাদকাসক্ত’র মত কোন কথা ছাড়াই সে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং গায়ে হাত তুলে। মাদকাসক্ত না হলে একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কিভাবে আমার বসতবাড়ি তার বাড়ি বলে দাবি করতে পারে! এবং সে সন্ত্রাসের মত আমাকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে একটা সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি’।
দক্ষিণ হাজিপাড়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, ‘খুবই নির্মমভাবে মারা হয়েছে (হেলালকে)। যা প্রকাশ পাওয়ার মতো নয় মঈন লোকটা এমনই প্রায় সময় মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদে জড়ায়। বিষয়টা হেলালের পারিবারিক। মঈন কেন অনর্থক হেলালকে মারধর করবে বলে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি’।
আহত ব্যাক্তি হেলাল আরও জানান, ‘দ্রুত আইনের আশ্রয় নিয়ে মঈনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিবেন’।
রাশেদ নামের স্থানীয় এক ইলেক্ট্রিশিয়ান জানান, ‘হেলালের বাড়ি মঈনের বাড়ি দাবি করা  অত্যন্ত ঘৃণিত মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। এতে সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে’। তিনি আরও বলেন, ‘অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ যে কেউ করতে পারে, কিন্তু মার্জিত রুচির ব্যবহার সবাই জানেনা। হেলাল ও মঈনের মধ্যেই তফাৎ এখানেই’।
এবিষয়ে দক্ষিণ হাজীপাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মনির বলেন, ‘সেন্টমার্টিন নিঝুমবাড়ি রিসোর্টের মালিক এবং দারুচিনি দ্বীপ ট্যুরিজমের সত্বাধিকারী হেলাল উদ্দিন সাগর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সম্মানের সহিত এখানে বসবাস করছে। এমন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার হুমকি সত্যিই খুবই দুঃখের বিষয়। তিনি আরও বলেন, আমরা চাইনা কোন ব্যক্তির জন্য আমাদের সমাজের মানসম্মান নষ্ট হউক। সমাজের শান্তি রক্ষার্থে প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের আইনের সাহায্য নিব’।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উদবাস্তু সাধারণ মানুষের বসতবাড়ি বন্দোবস্তো করার কথা বলে ২০০৮ সালে ১০৫ পরিবার থেকে প্রায় কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করে এই মঈন উদ্দিন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মঈন উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন